তিন বছরের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ দেশের চাহিদায় যুক্ত হবে বলে আশা করছে সরকার। দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির যে গতি তাতে ২০২১ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ পাওয়া না গেলে চাহিদার বিপরীতে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না বলে মনে করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ইতোমধ্যে নিজেদের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের জন্য নতুন সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এই কনসোর্টিয়ামের উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশ এই ক্যাবলে থাকছে। এখন সক্ষমতা, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিছু দিন পরে আমাদের ব্যান্ডউইথের চাহিদা এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকবে যে, সি-মি-উই ৫ দিয়ে তা আর সামাল দেয়া যাবে না। তাই বছর তিনেকের মধ্যেই তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ যোগ করতে হবে। ‘এর মধ্যে বেসরকারি কেউ সাবমেরিন ক্যাবল করতে চাইলে চার নম্বর সাবমেরিন ক্যাবলও নেয়া হবে। তখন চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করা যাবে। নেপাল, ভুটান ও ভারতসহ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের কাছে ব্যান্ডউইথ চাইছে’ জানান মন্ত্রী। দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার এক হাজার জিবিপিএস ছুঁয়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষে দেশে মোট কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় কোটি ১৮ লাখ। যার মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংযোগ আছে আট কোটি ৬২ লাখ। সংখ্যায় মাত্র ৫৭ লাখ ৩৫ হাজার হলেও ব্রা্ডব্যান্ডের মাধ্যমেই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের বেশীর ভাগ ব্যবহার হয়ে থাকে।এর বাইরে ওয়াইম্যাক্স সংযোগ আছে আরো ৬১ হাজার। সি-মি-উই (SEA-ME-WE) হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপের সংক্ষিপ্ত নাম। এই এলাকার মধ্য দিয়ে ক্যাবলটি স্থাপিত বলে প্রতিটি ক্যাবলের নামে এমনটা যুক্ত থাকে। যেমন সি-মি-উই ৪, সি-মি-উই ৫। সর্বশেষ সি-মি-উই ৫ কনসোর্টিয়ামে এই এলাকার দেশগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, ইউএই, জিবুতি, মিসর, তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, মিয়ানমার, ইয়েমেন। এই ১৯ দেশ ১৯টি ল্যান্ডিং পয়েন্টের মাধ্যমে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নতুন সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপ হতেই দেশগুলো যুক্ত হবে।
Comments
Post a Comment